মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় (ডিআর কঙ্গো) এক গণকবর সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশটির উত্তরে উগান্ডা সীমান্তের ইতুরি প্রদেশের ওই গণকবর থেকে শিশুসহ ৪৯টি মরদেহ শান্তিরক্ষীরা। নিহতরা মিলিশিয়ার সঙ্গে চরমপন্থি গোষ্ঠীর ব্যাপক সংঘর্ষের শিকার বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডয়েছে ভেলে ও আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

খবরে বলা হয়েছে, কঙ্গোয় শান্তিরক্ষীরা একটি স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা চালায়। ধারাবাহিক এ হামলার পর ৪৯ বেসামরিকের মরদেহ পাওয়া যায়।

নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক জানান, কঙ্গোর বুনিয়া শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) পূর্বে উত্তর-পূর্ব ইতুরি প্রদেশের দুটি গ্রামে থাকা গণকবরে মরদেহগুলো পাওয়া যায়। অঞ্চলটি উগান্ডার সীমান্তের কাছে।

গত সপ্তাহের শেষ দিকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর কোডেকো মিলিশিয়াদের হামলার খবর পাওয়া যায়। এর পরপরই শান্তিরক্ষীরা ওই এলাকায় টহল শুরু করে বলেও জানান তিনি। ওই হামলায় নিহতের ঘটনাটি ঘটে কিনা, সে সূত্র খুঁজে বের করা হচ্ছে বলেও উলে­খ করেন ফারহান হক।

ইতুরি প্রদেশের নিয়ামাম্বা গ্রামে একটি গণকবরে ছয় শিশুসহ ৪২ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। পাশের এমবোগি গ্রামে মেলে সাতজনের মৃতদেহ।

ফারহান হক কো-অপারেটিভ ফর দ্য ডেভলপমেন্ট অব কঙ্গো নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নাম উলে­খ করে বলেন, বেসামরিক মানুষের ওপর হামলার জন্য গোষ্ঠীটি জড়িত থাকতে পারে। এ ঘটনায় তদন্তের আহŸান জানাচ্ছে জাতিসংঘ। মনুজকো নামে পরিচিত জাতিসংঘের আঞ্চলিক শান্তিরক্ষা মিশন তদন্তের জন্য কঙ্গোলিজ বিচার ব্যবস্থাকে সহায়তা করছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতেও আহ্বান জানিয়েছে মনুজকো।

উলে­খ্য, সম্প্রতি বেশ কয়েকজন নারী অপহৃত হয়েছে কঙ্গোয়। এ ছাড়া বেশ কয়েক মাস ধরে দেশটিতে সংঘর্ষও বেড়েছে। গত দেড় মাসে নিহত হয়েছেন ১৯৫ জন।